রেমিট্যান্সে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের অনন্য অর্জন

প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকা বাংলাদেশে পাঠানোর ক্ষেত্রে আস্থা ও ভরসার অপর নাম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক। এ বছর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী তাদের কষ্টার্জিত আয় বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের উপরেই আস্থা রেখেছেন।

২০২৩ সালে ব্যাংকটি প্রথমবারের মতো এক হাজার মিলিয়ন ডলারের উপরে রেমিট্যান্স আহরণে সক্ষম হয়েছে। প্রবাসীরা চলতি বছরের এ পর্যন্ত ১১০৮৮ কোটি টাকা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। গত বছরের তুলনায় এই প্রবৃদ্ধি প্রায় চার গুণ। এই প্রবৃদ্ধি ব্যাংকিং সেক্টরে সর্বোচ্চ।

সোশ্যাল ইসলমী ব্যাংক প্রবাসী গ্রাহকদের জন্য বিশেষায়িত কয়েকটি সেবাপণ্য প্রবর্তন করেছে। প্রবাসী গ্রাহকগণ বিদেশে বসেই এসআইবিএল নাউ অ্যাপ ব্যবহার করে মোবাইল থেকেই ই-অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকে হিসাব খুলতে পারছেন। এই হিসাব খুলে গ্রাহকগণ সহজে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারছেন।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক তার রেমিট্যান্স গ্রাহকদের ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকা সিটি করপোরেশনের মধ্যে নির্দিষ্ট স্থানে ব্যাংকের নিজস্ব পরিবহনে নিরাপদে পৌঁছে দিচ্ছে। এর পাশাপাশি রেমিট্যান্স প্রেরণকারীকে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ফাউন্ডেশন হাসপাতালে সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট সুবিধা প্রদান করছে।

এছাড়াও প্রবাস ফেরত বাংলাদেশিদের যারা দেশে একেবারে চলে আসেন এবং দেশে কিছু করতে চান তাদের জন্য সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের রয়েছে ২টি জীবনঘনিষ্ঠ সেবাপণ্য- ‘প্রবাসী উদ্যোগ’ ও ‘প্রবাসী অগ্রযাত্রা’। এই সেবাপণ্য দুটির আওতায় সহজশর্তে বিনিয়োগ গ্রহণ করে একজন বিদেশফেরত রেমিট্যান্স যোদ্ধা নিজেই উদ্যোক্তা হতে পারেন। এভাবে একজন প্রবাসফেরত ব্যক্তি নিজে যেমন স্বাবলম্বী হচ্ছেন তেমনি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারছেন।

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে বিশ্বের অনেকগুলো নামী-দামি এক্সচেঞ্জ হাউজ ও মানি ট্রান্সফার কোম্পানির চুক্তি রয়েছে। ফলে প্রেরিত রেমিট্যান্স খুব দ্রুত প্রাপকের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে।

এই অর্জনের ব্যাপারে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য আমরা অনেকগুলো উদ্যোগ নিয়েছি।

এছাড়া গত দু’বছর আমরা আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশে গিয়ে বাঙালি কমিউনিটির সঙ্গে মিটিং করেছি, তাদের সঙ্গে বসেছি এবং বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণে উদ্বুদ্ধ করেছি। তার সুফল এখর আমরা পেতে শুরু করেছি, বলেন তিনি।

You May Also Like

+ There are no comments

Add yours